মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞান হচ্ছে, জীবনটা খুব দীর্ঘ কোনো অভিযাত্রা নয়। তবে সবাই এই অভিযাত্রায় একটা পরিণত কাল পর্যন্ত পৌঁছতে চায়। এর পরেও একটি জীবনের যবনিকা সব সময়ই স্বজন, সুহৃদের কাছে বেদনাবিধুর। তাদের দুঃখ ও বেদনার কোনো শেষ থাকে না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিশিষ্ট গীতিকার গৌরি প্রসন্ন মজুমদারের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সে রাজ্যের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী শ্যামল মিত্র। মৃত্যু নিয়ে মানুষের অনুভূতি রয়েছে ওই গানে। ক’টি চরণ এরকম : ‘এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে মন যেতে নাহি চায়, তবু মরণ কেন এখান থেকে ডেকে নিয়ে যায়, ... না না না যাবো না, মন যেতে নাহি চায়, মনে হয় মানুষেরই সুখে দুঃখে মিশে থাকি, তাদের কাছে ডাকি কণ্ঠ জড়ায়ে ধরে বলি, যেতে দিও না আমায়।’ আক্ষেপ, সেটা হবার নয়। বিধাতার এ অমোঘ বিধান, ফিরে যেতেই হবে। আবার বলি, এই যাওয়াটা তখন কিছুটা সহনীয় হয়তো হয় যখন বিদায়টা পরিণত মুহূর্তে আসে।