চিত্রনায়িকা পরীমনির দায়ের করা মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিচার শুরুর বিষয়ে আদেশের জন্য ১৮ মে তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি শাহ শহিদুল আলম।এ দিন পরীমণি স্বামী শরিফুল রাজকে সাথে নিয়ে শুনানিতে এসেছিলেন। তার আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সুরভীর সাথে শুনানিতে অংশ নেন ট্রাইব্যুনালের পিপি সহিদুল ইসলাম ঢালী। আসামিপক্ষে ছিলেন এ এইচ ইমরুল কাউছারসহ কয়েকজন।শুনানিতে আসামিদের আইনজীবীরা মামলা থেকে অব্যাহতি চান। আর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের আর্জি জানানো হয়। উভয়পক্ষের কথা শুনে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১৮ মে দিন ধার্য করেন।গত বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদি হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তারা হলেন, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহিদুল আলম। বর্তমানে তিনজনই জামিনে রয়েছেন।