বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেন ভুলে গেছেন তারা কোন ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলছেন। টেস্ট খেলছেন, নাকি ওয়ানডে বা টি-২০। আত্মবিশ্বাসের ছিটে ফোঁটাও লক্ষ করা যায়নি। পাঁচ সেশন ফিল্ডিং করে প্রতিপক্ষের বিশাল রান যেন এক ইনিংসেই তাড়া করতে চাইছেন। প্রোটিয়া দল তাদের পরিকল্পনা বদল করে আক্রমণ শানিয়েছে পেসারদের দিয়ে। প্রথম টেস্টে স্পিন আক্রমণ দিয়ে কুপোকাত করার পর বাংলাদেশের সব পরিকল্পনা সাজিয়েছিল স্পিন অ্যাটাকের বিপক্ষে। তবে বোলিং কোচ ডোনাল্ড জানিয়েছেন এখানে পেসারদের রাজত্ব হবে। সেভুল ভেঙেছেন তাইজুল ৬ উইকেট নিয়ে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে ঠিকই শাসন করল পেসাররা। পাঁচ উইকেটের প্রতিটিই তুলে নিলেন তারা। আর তাতে ফলোঅন শঙ্কায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৯ রান। ৩১৪ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। মুশফিক ৩০ ও রাব্বি ৮ রানে অপরাজিত আছেন।নিজেদের প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য হাতে ফিরলেন মাহমুদুল হাসান জয়। অলিভিয়ের লেন্থ বলে পরাস্ত হন তিনি। পুশ করতে গিয়ে খোঁচা দিয়ে বসেন। প্রথম স্লিপে সহজে ক্যাচ ধরেন এরউই। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করা জয় ২ বল খেলে ফেরেন খালি হাতেই। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরু থেকে তামিম দারুণ সব শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। অন্য শান্তও দারুণভাবে সঙ্গ দেন তামিমকে। দু’জনের যুগলবন্দী লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ হয়। একুশতম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। রিভিউ নেবেন কী না এ বিষয়ে শান্তর সাথে একটু কথা বলেছেন, এরপর নিজেই হাঁটা দেন ড্রেসিংরুমের দিকে। ৫৭ বলে ৪৭ রান করেন ৮ চারের মারে। তার আউটে ভেঙে যায় ৭৯ রানের জুটি।