আরেক দফা এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাম জোট। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, দুর্মূল্যের বাজারে এলপিজি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি মানুষের কষ্ট ও ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেবে। এমতাবস্থায় মানুষের জীবন রক্ষায় জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি দেয়ার দাবি জানায় বামজোট। জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য আরেক দফা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারী লাখ লাখ পরিবারের আর্থিক কষ্ট ও ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেবে। খাদ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠেছে তখন নতুন করে গ্যাসের এই দামবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের কোটি মানুষের জীবনকে আরো দুর্বিষহ করে তুলবে।তারা বলেন, কেবল গত তিন মাসেই ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৬১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি খাতে চুরি দুর্নীতি, অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার দায়ভার চাপানো হচ্ছে ভোক্তাদের উপর। নেতৃবৃন্দ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ এখনো বিশেষ কোনো সুফল আনতে পারেনি; খুচরা বাজারে এসব পদক্ষেপের বিশেষ কোনো প্রভাব নেই। নেতৃবৃন্দ মুনাফাখোর বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন- জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ইউসিএল’র অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, বাসদ- মার্কসবাদীর মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি- মার্কসবাদীর ইকবাল কবির জাহিদ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক প্রমুখ।