ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক সন্ত্রাসের শিকার। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ডামাডোলে তাদের ওপর হিন্দুত্ববাদী নির্যাতন আড়াল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভারতীয় আদালত এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন। কর্নাটকের আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় হিজাববিরোধী অবস্থানকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দিয়েছেন। তাদের আদালত মুসলমানদের ‘ফরজ-ওয়াজিব’ সম্পর্কেও ফতোয়া দিচ্ছেন। হিজাব-সংক্রান্ত মামলায় কর্নাটকের হাইকোর্ট রায় দিয়ে বলেছেন, ‘হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়’। অর্থাৎ মোদির ভারতে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের আদালত অন্য ধর্মের বিধিবিধান নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। উচ্চ আদালতের এই রায়ের ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্তদের আপিল শুনতেও অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কর্নাটকের হিজাব অনুসরণ করা ছাত্রীরা প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে তাদের শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হতে যাচ্ছে।