উনিশ.খলিল সানা আমার কথায় কোন পাত্তাই দিলো না। আমার এক হাত শক্ত করে ধরে রেখে বলল, ‘উহু, তোকে একা ছাড়ছি না। বাড়িতে তোর আপার কাছে বুঝিয়ে দিয়েই তবে আমার কাজ শেষ।’আমি উসখুস করতে লাগলাম। খলিল সানা আমাকে এখন বাড়িতে নিয়ে গেলে আমার গোরস্থানে ঘোরাঘুরির খবর জানাজানি হয়ে যাবে। খলিল সানা গরু খোঁজার কথা বললে আরও ধরা খাবো। আমাদের বেশ কয়েকটা গরু বাছুর থাকলেও কোনোটা হারিয়ে গেছে এরকম হয়নি।খলিল সানার ভাবভঙ্গিতে বুঝতে পারলাম, আমাকে বাড়িতে না দিয়ে ছাড়বে না। আমাদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যও স্পষ্ট পরিষ্কার। আমার আপুর সাথে দেখা করা। সে কথা সে বুঝিয়েও দিয়েছে। আমি কোনো কথা বললাম না। এসব কথায় আমার কী লাভ? আমার মাথার মধ্যে এখন ঘুরছে আজ গোরস্থানে যাওয়ার শাস্তি কিভাবে এড়াব? এদিকে গরু খোঁজার কথা বলে আরো মিথ্যা বলেছি। মা মিথ্যা বলা মোটে পছন্দ করেন না। বিশেষত বাইরের লোকের সামনে।বাড়ির কাছাকাছি আসতেই আমাদের মাহিন্দর সবুরকে হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসতে দেখলাম। তাহলে আমি মাগরেবের পরে বাড়িতে ফিরিনি সেই খবর হয়ে গেছে। সবুর আমাকে খুঁজতে আসছে। সবুর কাছাকাছি এলেও আমাকে এড়িয়ে চলে যাচ্ছে দেখে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘সবুরভাই, ওদিক কোথায় যাও?’সবুর আমার দিকে ভ্রƒক্ষেপ না করেই বলল, ‘লাল গাইডা এখনো গোয়ালে ফিরেনি। খুঁজতে যাচ্ছি।’ (চলবে)