পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন এখন যুদ্ধাক্রান্ত। গত ২৪ ফেব্রয়ারি প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তিন দিক থেকে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত রাশিয়া তার প্রত্যাশার চেয়ে কম মাত্রায় হলেও আগ্রাসী ভূমিকায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বেশ কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে (লেখার সময় পর্যন্ত)। পক্ষান্তরে, ইউক্রেনের যোদ্ধারা বলা যায়, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রতিরোধ দেখিয়ে এখনো রাজধানী নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ব বিভক্ত হয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে কোনো সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস করা যায়নি ইউক্রেনের পক্ষে বা রাশিয়ার বিরুদ্ধে। পশ্চিমা বিশ্ব, যারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলে তারা এবং পশ্চিমাবিরোধী বলে পরিচিত রাশিয়া ও চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়ার মতো দেশগুলো, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরস্পরের বিরুদ্ধে নেমেছে। মাঝখানে বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো তাদের নিরপেক্ষতা রক্ষায় কোনো পক্ষে ভোটদান থেকে বিরত থেকে কঠিন এক অবস্থান গ্রহণ করেছে। এমন দেশের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ বলে খবরে জানা গেছে।