মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমডি জাহিদ-৩ এর ধাক্কায় একটি সিমেন্টবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া নৌযানটিতে থাকা পাঁচজনের সবাই উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে লঞ্চের সুকানি শরিফুল ইসলাম (২৮) ও লস্কর নুর ইসলাম (৪০) নিখোঁজ থাকলেও পরে তারা অক্ষত অবস্থায় আত্মীয় বাড়িতে পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। গতকাল শনিবার ভোর ৬টার দিকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের স্টাফ ও নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ক্রাউন সিমেন্ট কারখানা থেকে সাড়ে সাত হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে পাবনার নগরবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছিল বাল্কহেডটি। নৌযানটি মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখী লঞ্চ এমভি জাহিদ-৩ সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে সেখানে থাকা পাঁচজনের মধ্যে লস্কর জুয়েল রানা মাস্টার সুফিয়ান (৩৬) ও বিল্লাল (৩০) সাঁতরে একটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হলেও অন্য দুইজন নিখোঁজ থাকেন। পরে তাদের উদ্ধারে অভিযান চলাকালে নিখোঁজ দুইজন অক্ষত অবস্থায় নিকট-আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছানোর খবর আসে।এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, বাল্কহেড ডুবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়। উদ্ধার অভিযান চলার মধ্যেই নিখোঁজ দুইজন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে জানান, তারা নিরাপদে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছেছেন। এরপর অভিযান সমাপ্ত করা হয়। তবে দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় সেটিকে আটক করা যায়নি।