Breaking News >> News >> Daily Nayadiganta


হাসপাতালে হত্যাচেষ্টা মামলায় যুবলীগ কর্মীসহ সব আসামির জামিন


Link [2022-03-22 23:19:59]



ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বামীকে কুপিয়ে জখম করার মামলার আসামি নার্স ইলা শিকদার ও যুবলীগ কর্মী দেবাশীষ নয়নসহ সব আসামি উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের অন্তরবর্তীকালীন আগাম জামিন লাভ করেছেন। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন কর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সব তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। শুধু মেডিক্যালের রিপোর্ট পেতে বাকি। সেটা পেলেই আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো: ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ওই নার্স তাকে ফোন করে আগাম জামিনের কথা জানিয়েছেন। তবে তাকে কর্মস্থলে যোগদানে নিষেধ করা হয়েছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি নার্স ইলা শিকদারের সরাসরি সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।জানা যায়, শহরের টেপাখোলা বিন্দাবনের মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত খায়ের মোল্যার সন্তান ফাহিম আহমেদ রাসেল তার স্ত্রী হীরা ওরফে বাঁধনকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে প্রতিদিন দু’বার রক্ত পরীক্ষার নির্দেশনা দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষার জন্য রাসেল কর্তব্যরত নার্স ইলা শিকদারকে স্ত্রীর শরীর থেকে সিরিঞ্জে রক্ত টেনে দিতে বলেন। নার্স ইলা এতে অপারগতা জানালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে মোবাইলে দেবাশীষ নয়নকে ডেকে এনে হাসপাতালের ভেতরেই রাসেলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত রাসেলকে প্রথমে ফরিদপুরের মেডিক্যাল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।এ ঘটনায় ওই নার্স ইলা শিকদার, নার্সিং সুপারভাইজার জহুরা বেগম ও দেবাশীষ নয়নসহ অজ্ঞাত আরো দু’জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। এদের মধ্যে দেবাশীষ নয়ন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবু আহমেদ আব্দুল্লাকে প্রধান এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহ মো: বদরুদ্দোজাকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন।হামলার শিকার ফাহিম আহমেদ রাসেল বলেন, এ মামলার একজন আসামিও গ্রেফতার হয়নি। এই সুযোগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমি পুলিশকে আমার নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছি। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিয়েও তিনি শঙ্কিত।



Most Read

2024-09-20 09:26:36