Breaking News >> News >> Daily Nayadiganta


মিয়ানমার জান্তা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে : যুক্তরাষ্ট্র


Link [2022-03-21 23:19:26]



মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সে দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর যে সহিংসতা চালিয়েছে, তাকে প্রথমবারের মতো ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ‘প্রমাণ পেয়েছে’ ওয়াশিংটন।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনের হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সহিংসতাকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে যে সিদ্ধান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন উপনীত হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন।রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছেÑ এই খবর প্রথম প্রকাশ করে রয়টার্স। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্মমতা চালানো হয়েছে, জাতিসঙ্ঘ তাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে আসছিল শুরু থেকেই। তবে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের সেইসব ঘটনাকে ‘জেনোসাইড’ বলতে দ্বিধায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র।২০১৭ সালের অগাস্টে মিয়ানমারের দক্ষিণপশ্চিমে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই ঘটনায় মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনার প্রস্তাব করে জাতিসঙ্ঘ।যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর জেফ মার্কলে গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, “রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত বর্বরতাকে বাইডেন প্রশাসন শেষ পর্যন্ত গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আমি তাদের প্রশংসা করছি। এ ঘোষণাটি দীর্ঘ প্রতিক্ষিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা এসেছে এবং এই নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে এটা একটি শক্তিশালী ও বিশেষভাবে গুরুত্ববহ পদক্ষেপ।”ওরেগনের এই সিনেটর বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে নেতৃত্বে আসতে হবেÑ এটা স্পষ্ট করার জন্য যে এ ধরনের নৃশংসতা কখনোই মেনে নেয়া হবে না, ধামাচাপা পড়ে যাবে না, সেটা যেখানেই ঘটুক না কেন।” ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের একটি রিপোর্টে বলা হয়, মিয়ানমারের উত্তরের রাখাইন রাজ্যে “ভয়ানকভাবে, বিস্তৃতভাবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেখানকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করেছে এবং রোহিঙ্গাদের আবাস থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।” যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে অবশ্য ওইসব মানবাধিক লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত হিসেবে মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মিন অং হ্লায়িংসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।



Most Read

2024-09-20 09:26:45