Breaking News >> News >> Daily Nayadiganta


বাদ পড়ার চিন্তা আর নয়


Link [2022-03-21 22:07:37]



একেক কোচের একেক দর্শন। তিন বছর ধরে ভালো খেলে আসছেন রাইট ব্যাক নাসিরুল ইসলাম নাসির। কিন্তু এবার চট্টগ্রাম আবাহনী ছেড়ে সাইফ স্পোর্টিংয়ে আসা এই ফুটবলারকে পাশ মার্ক দেননি জেমি ডে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এই কোচের মতো লাল-সবুজদের কোচ অস্কার ব্রুজন এবং মারিও লেমসের দলেও উপেক্ষিত ছিলেন নাসির। তবে নতুন কোচ হাভিয়ার কাবরেরা ঠিকই দুই প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৩ জনের দলে ঠাঁই দিয়েছেন তাকে। সাথে ঢাকা মোহামেডানের লেফট উইংগার জাফর ইকবালকেও। দু’জনই আবার ডাক পেলেন বাংলাদেশ দলে। নাসির এখন সিনিয়র পর্যায়ে চলে গেছেন। জাফরের গায়ে উঠতি মোড়করা আছেই। ২০১৭ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে ২০১৮ সালেই বাদ পড়েন জাফর। এবার ফের বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়ে তাদের দু’জনেরই ইচ্ছে লাল-সবুজ দলে স্থায়ী হওয়া। মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে চান বাদ পড়ার বিষয়টি।২০০৬ সালে জাতীয় দলে ডাক পান চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফুটবলার নাসির। ২০১০ সালে এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী দলের সদস্য তিনি। এবার তিনি ডাক পেলেন ২০১৬ সালের পর। এই ফুটবলারের মতে, ‘আমি প্রতিবারই ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। এবার কোচ আমাকে জাতীয় দলে ফের ডেকেছেন। এখন চাই কোচের প্রত্যাশা পূরণ করে খেলতে। দেশকে আরো কিছু দিন সার্ভিস দিতে।’ ২০০৯ সালের সাফে ভুটানের বিপক্ষে করা গোলকে তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্মরণীয় বলে উল্লেখ করলেন। আর ঘরোয়া ফুটবলে গত বছর চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে গোলটি তিনি মনে বিশেষ ভাবে স্থান দিয়েছেন।২০১৭ এর অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে সর্বোচ্চ গোলদাতা জাফরের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল। পরের বছর জাতীয় দলে তার গোল লাওসের বিপক্ষে প্রীতিম্যাচে। এরপর বাদের তালিকায়। জাফর জানান, ‘ইনজুরি সমস্যা করেছিল। তা ছাড়া ক্লাব ফুটবলে বিদেশীদের জন্য পছন্দের ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলতে পারি না। এটাও একটা কারণ বাদ পড়ার। ক্লাবে আমাকে খেলতে হয় উইং পজিশনে।’ জাতীয় দলের ছোট্ট ক্যারিয়ারে লাওসের বিপক্ষে গোলটিই স্মরণীয়। তবে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ টুর্নামেন্টটিকে। সে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। বান্দরবানের এই ফুটবলার জানান, এখন আমার লক্ষ্য বাংলাদেশ জায়গাটা ধরে রাখা।



Most Read

2024-09-20 09:40:24