নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৭ উইকেটে হার দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শুরু করেছিল হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ঝড়ো সেঞ্চুরি ও স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং নৈপুণ্যে জয়ে ফিরল আবাহনী। গতকাল সিটি ক্লাবকে হারিয়েছে ১১১ রানের বিশাল ব্যবধানে। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিটি ক্লাব। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারের (৩) উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নাইম ও তৌহিদ হৃদয়। বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়েও নাইম ৩৭ ও হৃদয় ৪৬ রানে আউট হন। মিডল-অর্ডারে নাজিবুল্লাহ জাদরান ১২ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক ২৪ রানে ফিরলে ৩০ ওভারে ১৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় আবাহনী।কাউন্টার অ্যাটাকে শামীম ৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। আর পরের ৫০ রান করতে মাত্র ২২ বল খেলেন শামীম। অর্থাৎ ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশী ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড মাশরাফি বিন মর্তুজার। ২০১৬ সালের প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলতে নামা মাশরাফি।লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া শামীম, শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৯ বলে অপরাজিত ৬৫ রান করেন জাকের। ষষ্ঠ উইকেটে ১২৩ বলে ১৭১ রানের জুটি গড়েন শামীম-জাকের। তাতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। ৩১০ রানের বিশাল টার্গেটে শুরু থেকে বিপদে পড়ে সিটি ক্লাব। ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে ৩ উইকেটই ছিল সানির। শুরুর ধাক্কা সামলে আশিক ৬৭ ও মঈনুল ৭৪ রান করে আউট হলে পরের দিকের ব্যাটাররা দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি। ৪২ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয় সিটি ক্লাব। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা আবাহনীর সানি।শাহাদাতের সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংকের তিনে তিনওপেনার শাহাদাত হোসেনের সেঞ্চুরিতে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে গতকাল প্রাইম ব্যাংক ৪ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিটি ক্লাবকে ৫০ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবকে ৮৬ রানে হারায় তারা। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হারের দেখা পেল রূপগঞ্জ।সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ শুরুতেই ২০ রানে ৩ উইকেট হারায়। তবে চতুর্থ উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়েন নাইম ও রকিবুল। নার্ভাস নাইন্টিতে ফেরেন নাইম। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৯ বলে ৯১ রান করেন তিনি। তবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন রাকিবুল। ৪৬তম ওভারে প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক অলক কাপালির বলে আউট হওয়ার আগে ১২১ রান করেন রকিবুল। ১২৫ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন এ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬৫ রান করে রূপগঞ্জ। রুবেল ২ উইকেট নেন।২৬৬ রানের জবাবে ২৪.২ ওভারে ১২৫ রান তোলেন প্রাইমের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও শাহাদাত। বিজয়কে ৫৩ রানে ফেরানোর পর ১৯৩ রানের মধ্যে আরো ৩ উইকেট তুলে নেন তারা। অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন শাহাদাত। ২০ বছর বয়সী এই ডান হাতি ব্যাটার, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ১৪৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১৩১ রান করেন তিনি। ৮ বলে অপরাজিত ২২ রান করেন নাহিদুল। ম্যাচসেরা প্রাইম ব্যাংকের শাহাদাত।খেলাঘরকে ঘর বাঁধতে দেয়নি গাজীইউল্যাব ক্রিকেট মাঠে ৮৬ রানে জিতেছে গাজী গ্রুপ। ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে খেলাঘরকে থামিয়ে দিয়েছে ১৬০ রানে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬ চারে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন আল আমিন জুনিয়র। গুরিন্দরের ব্যাট থেকে আসে ৭ চারে ৫৪। পরে বল হাতে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা।