গোশত এবং মুরগি কেনার প্রয়োজনে বাজারে গেছি, দু-তিন মাস আগের হিসাব ধরেই বেগম সাহেবা বাজারের জন্য টাকা দিয়ে দিলেন। বাজারে গিয়ে চক্ষুচড়ক গাছ। ৫৫০ টাকার গরুর গোশত ৬৫০ টাকা, ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মুরগি ৪৫০ টাকা। সবজির বাজারের একই অবস্থা। যেটাতেই হাত দেই হাত যেন পুড়ে যায়। সেটার গায়েই আগুনের হল্কা। বাধ্য হয়ে বাজারের পরিমাণ সংক্ষিপ্ত করে ফিরতে হলো। মনে পড়ে গেল ছোটবেলার কথা। ৫ টাকা মণ ধান বিক্রি করেছি নিজেই। এক টাকায় ১২টি মুরগির ডিম মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় কিনেছি। সকালের নাস্তা, দুবেলা খাওয়া, হোস্টেলের মেসে ৫০ টাকা দিতে হতো। সপ্তাহান্তে উন্নতমানের খাবার। মাসের শেষে ভোজন উৎসব ছিল ফাও। এগুলো এখন সোনার হরিণ। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ হাঁসফাঁস করছে। গরিব মানুষ সঙ্কটে, মধ্যবিত্ত পরিবারে কান্না, সংসার চালানোই দায়- এগুলো এখন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রধান শিরোনাম। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। সংসারের চাকা সচল রাখতে ও আয়-ব্যয়ের হিসাব কষতে কষতে দিন পার।