দেশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা রাজনীতি, অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া, নিয়ন্ত্রণহীন বিশৃঙ্খল বাজার-ব্যবস্থাপনা, জীবনধারণে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আকাশছোঁয়া দাম, প্রখর রোদে ক্লান্ত মানুষের টিসিবির পণ্য কেনার লাইন, আসন্ন রমজানে নীতিহীন ব্যবসায়ীদের অধিক লাভ করা আনন্দ আহ্লাদে ফুরফুরে হয়ে ওঠা, ওমিক্রনের নতুন ত্রাস, সড়কে বেশুমার প্রাণহানি, ইউক্রেন সঙ্কট; সব মিলিয়ে সর্বত্র এক হাহাকার অবস্থা। এমন সময়ে কোথায় কোন অরণ্যে মানুষ আশ্রয় নেবে। দেশের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে কর্তৃপক্ষের ‘ইনঅ্যাবিলিটি’ এতটা প্রকটভাবে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে যে, কাউকে আর বলে বোঝাতে হবে না। বিদ্যমান অবস্থা সামলানোর কোথাও কোনো সক্ষমতার প্রমাণ নেই। উপরে যা উল্লেখ করা হলো তাতে রঙচঙ লাগানো হয়নি। রাজধানীর বাসিন্দারা শুধু নন, সারা দেশের মানুষের একই উপলব্ধি। পেশাদার সাংবাদিক জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। তাদের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ আকাক্সক্ষা নেই। মানুষের করুণ অবস্থা নিয়ে কথামালার রাজনীতি করার নিম্ন রুচি কোনো সৎ সাংবাদিকের থাকতে পারে না।