Breaking News >> News >> Daily Nayadiganta


ঝুঁকিতে মাল্টার শ্রমবাজার অনেকে ইউরোপের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে


Link [2022-03-17 01:43:31]



যেকোনো সময় মাল্টার শ্রমবাজার বাংলাদেশীদের জন্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মাল্টার বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা। যদি দেশটিতে বৈধভাবে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে-ই যায় তাহলে ইউরোপের দেশগুলোতে বাংলাদেশীদের যাওয়াও অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে ধারণা করছে অভিবাসন ব্যবসার সাথে সম্পৃত্ত ব্যবসায়ীসহ অন্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যেসব বাংলাদেশী শ্রমিক বৈধ প্রক্রিয়ায় মাল্টায় পাড়ি জমাচ্ছে, তাদের বেশির ভাগই ওই দেশের সরকারের নিয়মকে তোয়াক্কা করছে না। বরং তারা মাল্টাকে ইউরোপের অন্য দেশে যাওয়ার রুট ি সেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। এ কারণে বাংলাদেশের এই সম্ভবনাময় শ্রমবাজারটি এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মাল্টার বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতারা মনে করছেন। একই সাথে তারা উদ্বেগের কথাও জানাচ্ছেন দূতাবাসকে। সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। দূতাবাস সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেউ যদি মাল্টায় যেতে চান তাহলে তাকে সেই দেশের ওয়ার্কপারমিট নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় মালিকের সাথে একটি কাজের চুক্তি করে মাল্টা থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। সেই কাগজপত্র মাল্টা দূতাবাসে জমা দেয়ার পর যদি সব ঠিক থাকে, তখন তাকে ভিসা দেয়া হবে। তবে বাংলাদেশে মাল্টার কোনো দূতাবাস না থাকায় সে ক্ষেত্রে ভারতে অবস্থিত দূতাবাসগুলো থেকে ভিসা সেবা নিতে হবে। মোটকথা সব ডকুমেন্ট সঠিক থাকলে দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় যেতে পারবেন যে কেউ। মাল্টায় বসবাসকারী স্থানীয় কমিউনিটির একাধিক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলছেন, মাল্টায় কাজের উদ্দেশ্য যেসব বাংলাদেশী আসছে, তাদের বেশির ভাগই থাকতে চাইছে না। দেশটিতে ঢুকেই তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ফলে মাল্টার নিয়োগকারী কোম্পানির মালিকের সাথে শ্রমিকদের যে চুক্তি রয়েছে তা তারা ভঙ্গ করছেন বলে নেতারা অভিযোগ করেন। এসব কারণে নিয়োগকারী কোম্পানি বাংলাদেশী শ্রমিক আনার ক্ষেত্রে এখন অনেকটা আগ্রহ হারাচ্ছেন। এখানে আসার পরই তারা ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে পাড়ি দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে মাল্টার বাংলাদেশের শ্রমবাজার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। মাল্টায় কি পরিমাণ বাংলাদেশী শ্রমিক বৈধ ভিসা নিয়ে গিয়েছেন সে ব্যাপারে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে মাল্টা সরকার প্রায় সাত হাজার বাংলাদেশী শ্রমিকের নামে ভিসা দিয়েছে। এর অর্ধেকেরও বেশি শ্রমিক মাল্টা থেকে পালিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে চলে গেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।



Most Read

2024-09-20 11:49:04