লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) প্রাণঘাতী সঙ্ঘাতের পর চীনের কোনো সিনিয়র নেতা হিসেবে প্রথম ভারত সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ভারত সফরের আগে নেপাল সফরে যেতে পারেন তিনি। মার্চের মধ্যেই এই সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে। লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও চীন সামরিক পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও খুব বেশি সফলতা আসেনি। ২০২০ সালের ৫ মে প্যানগন লেক এলাকায় সহিংস সঙ্ঘাতের পর পূর্ব লাদাখে দুই দেশের সীমান্তে অচলাবস্থা তৈরি হয়। ওই বছরের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় প্রাণঘাতী সহিংসতায় রূপ নেয় সেই উত্তেজনা। এতে ভারতের ২০ জন এবং চীনের চার সেনা নিহত হয়। পরে দাবি করা হয়, ওই সঙ্ঘাতে চার নয় চীনের ৪২ সেনা নিহত হয়। এই মাসের শুরুর দিকে ওয়াং ই বলেন, গত কয়েক বছরে চীন ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘কিছুটা নেতিবাচক’ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ‘স্বচ্ছ ও সাম্যভিত্তিক’ সমঝোতায় পৌঁছাতে উভয় দেশের আন্তরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ অবসানের আহ্বান জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু শক্তি চীন ও ভারতের মধ্য উত্তেজনা বাড়াতে চায়। সীমান্ত ইস্যু এবং দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক বছরে চীন ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিছুটা নেতিবাচক পরিস্থিতির মুখে পড়ে, যা দুই দেশ এবং দুই দেশের জনগণের কারো মৌলিক স্বার্থ রক্ষা করেনি।’এই বছরের শুরুতে জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের সাথে চীনের সম্পর্ক এই মুহূর্তে ‘খুবই কঠিন পর্যায়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য তিনি বেইজিংয়ের সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘনকে দায়ী করেন। তিনি আরো বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতিই দুই দেশের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিত নির্ধারণ করে দেবে। ওয়াং ই চীনের স্টেট কাউন্সিলরও। তিনি বলেন, চীন ও ভারতের ‘প্রতিপক্ষ হওয়ার চেয়ে বরং অংশীদার হওয়া’ উচিত।