দক্ষিণ আফ্রিকায় আগের সফরগুলোর পরিসংখ্যান বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের দীনতাই ফুটে ওঠে। সেখানকার বাউন্সি ও গতিময় উইকেটে কোনো সফরেই ভালো কিছু করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ছয় টেস্টে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস স্রেফ ৩২০ রানের। ৩০০ ছোঁয়ার অভিজ্ঞতা আছে ওই একবারই। ১২ ইনিংসের আটটিতেই দল গুটিয়ে গেছে ১৮০ রানের কমে। ওয়ানডেতেও চিত্রটি তথৈবচ। ১৪ ইনিংসে বাংলাদেশ ২৫০ ছুঁতে পেরেছে মাত্র একবার, ২০০ ছাড়াতে পেরেছে মাত্র তিন ম্যাচে। বলার অপেক্ষা রাখেন না, ছয় টেস্ট ও ১৪ ওয়ানডেতের কোনোটিতে কখনো বাংলাদেশ জিতেনি। কারণ এই ব্যাটিং ব্যর্থতা!আফগানিস্তনের বিপক্ষে দেশের মাঠেই সিরিজ খুব ভালো কাটেনি বাংলাদেশের ব্যাটারদের। সামনে আরো বড় চ্যালেঞ্জ। উপ-মহাদেশের সব দলের ব্যাটসম্যানদের জন্যই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের চেয়ে কঠিন পরীক্ষা ক্রিকেট বিশ্বে আছে কমই। সেই পরীক্ষায় উতরাতে ব্যাটিংয়ে উন্নতি দেখতে চান বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।বারবার ব্যর্থতার সেই আঙিনাতেই এবার বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছে এমন এক সময়ে, ব্যাটিং যখন বড় দুর্ভাবনা হয়েই আছে। ঢাকা ছাড়ার আগে গতকাল সকালে সিডন্স দিলেন ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগিদও। ‘প্রোটিয়াদের বিপক্ষে কাজটা কঠিন হবে। তবে মনে হচ্ছে, আমরা সত্যিই ভালো করব। ছেলেরা ভালো অবস্থায় আছে, স্রেফ আরেকটু ভালো ব্যাট করতে হবে।’দক্ষিণ আফ্রিকার পথে বাংলাদেশ স্কোয়াডের তিন ভাগের শেষ গ্রুপটি ঢাকা ছেড়ে যায় গতকাল সকালে। সিডন্সের পাশাপাশি মূলত শুধু টেস্ট স্কোয়াডে মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, সাদমান ইসলামরা ঢাকা ছাড়েন গতকাল। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের আস্তানা হবে কেপটাউন। ওয়ানডে দল যখন জোহানেসবার্গ ও সেঞ্চুরিয়ানে খেলবে ওয়ানডে সিরিজ, তখন টেস্ট দলে থাকা ক্রিকেটাররা নিবিড় অনুশীলন করবেন গ্যারি কার্স্টেনের অ্যাকাডেমিতে।