আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ব্রেক দ্য বায়াস নিয়ে গতকাল জিপিহাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছে গ্রামীণফোন।মানুষ স্বভাবতই অনেক সময় পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। জাতিসঙ্ঘের এক গবেষণা অনুযায়ী, ৯০ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে। টেক সার্ভিস লিডার হিসেবে নানা ধরনের ও বৈচিত্র্যের মানুষ গ্রামীণফোনে কাজ করেন আর এ ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দূর করতে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন সব সময়ই পক্ষপাতহীন কর্মপরিবেশের ধারণাকে উৎসাহিত করে, যেখানে বৈচিত্র্যপূর্ণ, সমতাভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোন বিস্তৃত গবেষণা করেছে। গবেষণা দেখাচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সাতটি সাধারণ পক্ষপাতমূলক আচরণের মুখোমুখি হতে হয়, যেগুলো চিহ্নিত করে দূর করতে হবে। এ পক্ষপাতমূলক আচরণের মধ্যে রয়েছে- পারফরম্যান্সের ওপর লৈঙ্গিক বিষয়ের প্রভাব, নারীরা প্রয়োজনের জন্য উপার্জন করেন না, বরং তারা বিলাসিতার জন্য উপার্জন করেন, সেলস ও টেক শুধু পুরুষদের কাজ, নারীরা শীর্ষস্থানীয় পদে আসীন হতে পারবেন না, নারীরা ডেস্কে বসে কাজ করার জন্য উপযুক্ত, নারীরা কঠিন কাজ বা প্রজেক্ট শেষ করতে পারবেন না এবং বিয়ে বা মাতৃত্বকালীন ছুটির পর তাদের কর্মদক্ষতা কমে যায়। গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে কর্মক্ষেত্রে এসব চিহ্নিত ধারণাগুলো দূর করা প্রয়োজন। গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা এসব পক্ষপাতমূলক ধারণাগুলোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। গ্রামীণফোনের লিডারশিপ টিমও তাদের তাদের ধারণাগুলো তুলে ধরেন এবং কর্মক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক আচরণ কিভাবে দূর করা যায় সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের পক্ষপাত দূর করার এটিই উপযুক্ত সময়। কারণ আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গ্রামীণফোনে আমরা নারীদের জন্য বৈষম্যহীন কর্মক্ষেত্র ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ তৈরিতে সবসময় গুরুত্বারোপ করি। জেন্ডার সমতাভিত্তিক কর্মক্ষেত্র তৈরিতে আমরা নারীদের জন্য সাতটি পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি চিহ্নিত করেছি, যা নিয়ে আমরা আগামী দিনগুলোতে কাজ করব। একসাথে কাজ করার মাধ্যমেই আমরা সামনের দিনগুলোতে পক্ষপাতহীন আচরণসমূহ দূর করতে পারব বলে আমি প্রত্যাশা করছি।বক্তারা আলোচনায় এ পক্ষপাতগুলো চিহ্নিত করতে করণীয়গুলোর ওপর আলোকপাত করেন, যাতে সবার জন্য পক্ষপাতহীন কর্মপরিবেশ তৈরি করা যায়। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার, চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত এবং প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা গ্রামীণফোনে থাকা বিদ্যমান পক্ষপাতগুলো দূর করার প্রতিজ্ঞা করেন এবং নারীদের জন্য সমতাভিত্তিক কর্মপরিবেশ তৈরিতেও কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।