ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইটিইউসি-বিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশে বাংলাদেশী কর্মীদের যথার্থ সেবা, সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ১৯৭৬ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশী শ্রমিকগণ। সরকারি হিসাব মতে, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরব, ওমান, কাতার, জর্দান, মরিশাস, কুয়েত, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, লেবানন, লিবিয়া, সুদান, মিসর, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনেই, জাপান, মালদ্বীপ, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এক কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ১৬১ জন বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিক পাড়ি জমান। এর মধ্যে ১৯৯১ সাল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নারী অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা ১০ লাখ ৪৫৬ জন। ৭২ শতাংশ অভিবাসী শ্রমিকের বয়স ২০-৬৪ বছর।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বিশ্বের ১৭৪টি দেশে বাংলাদেশের কর্মীরা কাজ করতে যান। এর মধ্যে সৌদিতে ৩৪.২৪ শতাংশ, আরব আমিরাতে ১৭.৬২ শতাংশ, ওমান ১১.৫৭ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৭.৭৫ শতাংশ, কাতার ৬.৩০ শতাংশ, সিঙ্গাপুর ৬.০২ শতাংশ।২০২০ সালে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি এবং ২০২৩ সালে যা ২৩ বিলিয়ন দাঁড়ায়। অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় এর পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।১৭৪টি দেশে বাংলাদেশী কর্মীরা গেলেও তাদের অধিকার সুরক্ষায় ২৬টি দেশের বাংলাদেশ মিশনে শ্রম কল্যাণ উইং আছে মাত্র ২৯টি। তাই কর্মীদের যথার্থ সেবা, সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে জনবল বাড়ানোর প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তি।