Breaking News >> News >> Daily Nayadiganta


ইসি গঠন দেরিতে শূন্যতার সৃষ্টি হবে না : আইনমন্ত্রী


Link [2022-02-13 21:43:15]



নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও আইন অনুযায়ী কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না। সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নাই। সেজন্য আজ এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপর নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু দেরি হলেও আইনে শূন্যতা হিসবে গণ্য হবে না।‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ইসি সচিব মো: হুমায়ন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, কমিশনারদের মধ্যে মো: রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম। জ্যেষ্ঠ কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব: শাহাদাত হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। মেয়াদ শেষ হলে কমিশনাররা অফিসিয়াল কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, না তারা সেটা পারবেন না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নাই যে, যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এই সময়ে তো ইলেকশন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন আসলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদে আইন পাস করে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সাথে গত বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু করে এই বছর জানুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত যে সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর হয়েছে সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং যে দলগুলো সংলাপে যায়নি সবারই কিন্তু একটা দাবি ছিল যে ইলেকশন কমিশন গঠনে একটা আইন করা উচিত।আনিসুল হক বলেন, সংসদ এই আইন করেছে সবার পার্টিসিপেশনে। এ রকম কোনো আইন এখন পর্যন্ত হয়নি যেখানে বিরোধীদলীয় ২২টি সংশাধনী নেয়া হয়েছে। এমনকি এই আইনের যে নাম তাও বিরোধীদলীয় যে সংশোধনী তার পরিপ্রেক্ষিতে বদলে দেয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি কাজ করছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, আমরা আশা করব তাদের দায়িত্ব পালনের শেষে সবাই একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাবে। এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয়, তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।এর আগে মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন। তার সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দিন ক্ষমতায় থাকবেন, তত দিন নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহযোগিতা করবেন। স্বাধীনতার পর দেশে অনেক সরকার এসেছে। কেউই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করার সাহস দেখায়নি।



Most Read

2024-09-20 20:28:00