শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে এই ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাশার।প্রেস ব্রিফিয়য়ে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সিলেটে এসে আলোচনা করেছেন। তাদের কাছে আমরা ভিসির অপসরাণসহ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেছি। পর্যায়ক্রমে আমাদের সব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন তারা। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থেই আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে ১৩ জানুয়ারি থেকে সিরাজুন্নেসা ছাত্রী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। এরপর ১৬ জানুয়ারি ভিসিকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশের অভিযানে আহত হন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য। ওই দিন রাতেই ভিসির অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ১৭ তারিখ বিকেল থেকে ভিসির অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী। পরে ২৬ জানুয়ারি ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক ক্যাম্পাসে এসে অনশন ভাঙান। সমস্যা সমাধানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের কথা জানান শাবিপ্রবির সাবেক এই শিক্ষকদম্পতি। এরপর গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা। ২৭ দিন পর শাবিপ্রবি ভিসি ফরিদের দুঃখ প্রকাশ : গত ১৬ জানুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলি, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এতে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থীসহ পুলিশ ও শিক্ষক আহত হন। এ ঘটনায় ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরুর ২৭ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেদিনের ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভিসি।এর আগে শুক্রবার শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। এ সময় ২৬ দিন পর ভিসি বাসভবন থেকে নিজের কার্যালয়ে এসে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন। তখন শিক্ষামন্ত্রী তাকে সেদিনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করার জন্য পরামর্শ দেন বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম।