গণতান্ত্রিক দেশেই রাজনৈতিক অঙ্গনে পক্ষ-প্রতিপক্ষের মধ্যে পাল্টা বক্তব্য দেয়া হর হামেশাই ঘটে যেসব বক্তব্যে দলের নীতি কার্যক্রম নিয়ে কথা থাকে। সেখানে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ও শৈলীর কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। আমাদের এখনো পাল্টাপাল্টি কথা হয়, কিন্তু সেখানে গণতান্ত্রিক ‘নর্মস’ বা চেতনা এতটাই লঙ্ঘিত হয়, বহু ক্ষেত্রেই তা শালীনতা ভব্যতার সীমা অতিক্রম করে যায়। ফলে রাজনীতির অঙ্গনে সব সময়ই বিরাজ করে তিক্ততা ও সাধারণ সৌজন্যের সীমাহীন ঘাটতি। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, দলটির এখন বড় ‘দুর্দিন’, এটা বিএনপির প্রতি সহানুভ‚তি প্রকাশের লক্ষ্যে বলা হয়নি। বক্তব্যের মূল সুরটি হচ্ছে তীর্যক; দলটিকে নিছক হেয় প্রতিপন্ন করা। এটাই সবাই বোঝেন। দেশের দলগুলো কখনোই সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিপক্ষের প্রতি সহানুভ‚তি দেখানোর মতো এমন উদারতার এখনো উন্মেষ তাদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পারেনি। সৌজন্য সহমর্মিতার প্রকাশের মানসিকতা এখনো তারা লালন করেন না। বরং এটাই দেখা যায়, ক্ষমতাসীনরা তাদের প্রধান প্রতিপক্ষকে ঠেলতে ঠেলতে খাদে ফেলার আয়োজনেই ব্যস্ত থাকে।