ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের খণ্ডিত নাম ব্যবহার করছে ছাত্রলীগ। দু’টি হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ ও একটি হলে ‘জিয়াউর রহমান’-এর নাম বাদ দিয়ে ‘সলিমুল্লাহ হল’, ‘ফজলুল হক হল’ ও ‘মুক্তিযোদ্ধা হল’ নামে ব্যবহার করছে তারা।গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখাগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে সংগঠনটি। আলাদা ১৮টি বিজ্ঞপ্তিতে এসব নাম ঘোষণা করা হয়। তবে ফজলুল হক মুসলিম হলের বিজ্ঞপ্তিতে হলটির নাম ‘ফজলুল হক হল’, সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের নাম ‘সলিমুল্লাহ হল’ ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের নামের জায়গায় ‘মুক্তিযোদ্ধা হল’ লেখা হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ডে পূর্ণ নাম ব্যবহার করা হয়। এমনকি সংগঠনটির সর্বশেষ হল কমিটি ঘোষণায় ব্যবহৃত বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট তিন হলের নাম সঠিক লেখা হয়েছিল।সম্প্রতি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের হল শাখাগুলোর সমন্বিত হল সম্মেলনে ব্যবহৃত ফেস্টুন ও বিজ্ঞপ্তিতেও খণ্ডিত নামগুলো ব্যবহার করেছে তারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি হল সম্মেলনে ব্যবহারের জন্য ১৮টি হলের জন্য ১৮টি পৃথক ফেস্টুনের ডিজাইন নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। সেখানেও খণ্ডিত নাম ব্যবহারের বিষয়টি লক্ষ করা যায়।এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটি হলের নাম বিকৃতি করে শুধু মুক্তিযোদ্ধা হল বলা ছাত্রলীগের হিপোক্রেসির একটি অংশ। এটি আসলে তাদের রাজনীতির নোংরা খেলা বলে আমি মনে করি।আরেক শিক্ষার্থী মহসিন আলী বলেন, দু’টি হলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগ আসলে কী বোঝাতে চায় এটি আমার বোধগম্য নয়। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা-ই হয়েছিল পূর্ববাংলার মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার্থে। তারা ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িকতার বদলে বরং মুসলিম বিদ্বেষ প্রকাশ করেছে।এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।