গ্যাস আজ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য আমাদের নাগরিক জীবনে। গ্যাস না থাকলে (লাইন আছে, গ্যাস সরবরাহ নেই বললেই চলে) সকালের নাস্তা খাওয়া হয় না। ঢাকা মহানগরের কোন কোন এলাকায় এরকম গ্যাস সঙ্কট চলছে, তা আমার জানা নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো সংবাদও নেই। (আজ অবশ্য টিভিতে গ্যাসের অবৈধ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সচিত্র নিউজ প্রচারিত হয়েছে। সেই সাথে আরো নিউজ হচ্ছে শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বা গ্যাসের চাপ না থাকায় মালিকরা বড় রকমের বিপদে পড়ছেন বা পড়তে যাচ্ছেন। তারা মনে করছেন ৬০-৭০ শতাংশ গ্যাসনির্ভর কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বা বন্ধ করতে হবে। এই তথ্য প্রকৃত তথ্যনির্ভর কি না সেটি বলতে পারবেন গ্যাস উৎপাদক বা বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।- বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ কম বা নেই বললেই চলে। আমরা ভাবি এরকম সমস্যা হয়তো ছোট, কিন্তু তার কামড়টা বড্ড কঠোর। কিন্তু তাদের চোখের পাতার ফাঁক গলে নিচে পড়ে যায়। কিংবা সংবাদপত্রের পাতায় স্পেস হয় না ওই নিউজের জন্য। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোতেও এ নিয়ে কোনো নিউজ দেখিনি বা শুনিনি। অথচ ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও প্রতিদিন নাশতা খেতে হয়। তারাও গ্যাস সঙ্কটের ভুক্তভোগী। বলতে গেলে নীরব যাতনায় তারাও নাকাল, কিন্তু বলতে পারছে না। নীরব যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে এ বিষয়টি।